সারাদেশে হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। ঘনকুয়াশা বাড়ছে দিনের পর দিন। গত দুইদিন সূর্যের আলোর দেখা মিলছে না কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। কুয়াশা এবং শীতের তীব্রতায় দুপুর ঘরিয়ে বিকেল হলেও অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। দিনের বেলা যারা জরুরী প্রয়োজনে বের হয়েছেন তারাও যথেষ্ট শীত নিবারণ কাপড় পড়ে বেরিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আরও দুই দিন ঘনকুয়াশা থাকবে। কুয়াশা আর মেঘের কারণে রোদ উঠতে না পারায় কমে গেছে দিনের তাপমাত্রা। বেড়েছে ঠান্ডা বাতাস, জেগে বসেছে শীত। গত দুইদিন সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে।
গত বুধবার বিকেলে সূর্যের আলো দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার সূর্যের আলো একেবারেই দেখা যায়নি। বিকাল থেকে শীতে তীব্রতা বাড়তে থাকে, রাত যতই গভীর হয় ঠান্ডা ততই বাড়তে থাকে। উপজেলা বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা যায়, দোকানপাট চৌরাস্তার মাঝে কাঠের গুড়ি, খড় জ্বালিয়ে আগুনের গরম তাপ নিচ্ছেন অনেকে। মহাসড়কে সকাল দশটা এগারোটা পর্যন্ত যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
এদিকে তীব্র শীত ও কুয়াশার প্রভাবে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক লোকেরাও ঠান্ডায় কাঁপছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুড়ে দেখা গেছে পুরো হাসপাতালজুড়ে ঠান্ডাজনিত রোগী। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শিশুধের আধিক্যই বেশি দেখা গেছে। শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন উপজেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।
এছাড়াও বাজার সংলগ্ন ফুটপাতে বসবাস করা ছিন্নমুল মানুষের গরম কাপড়ের অভাব লক্ষ্য করা গেছে। দিনমজুর নুরুল হক জানান, কৃষি কাজ করে সংসার চালাই ঘন কুয়াাশা ও তীব্র শীতের কারণে কোথাও কাজ করতে পারছি না, পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মাঝে আছি।
রিকশাচালক জহির মিয়া জানান তীব্র শীত ও ঠান্ডার কারণে রিক্সা নিয়ে বের হতে পারছি না। ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে হবে, আবার স্কুলের পোশাক তৈরি করতে হবে। ঠান্ডা না কমলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হবে।